বিনোদন বার্তা: এই সময়ের ব্যস্ত তারকা তানজিন তিশা। ঈদের আগে এই ব্যস্ততা বেড়ে যেন দ্বিগুণ হয়ে যায়। বর্ণিল ঈদ এর ফটোশুটে এসেও তাই ব্যস্ততা যেন কমে না। এই পরিচালক আসছেন স্ক্রিপ্ট নিয়ে তো আরেকজন আসছেন শিডিউল নিতে। এত ব্যস্ততার কারণেই ঈদের দিনগুলো বাসায় পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কাটাতে ভালোবাসেন এই অভিনেত্রী। এবারের ঈদ বরাবরের মতোই ঢাকায় কাটানোর ইচ্ছা আছে তাঁর। ঈদ উদ্যাপনের পরিকল্পনায় এতটুকুই শুধু ঠিক হয়েছে যে ঈদের পর গ্রামের বাড়ি শরীয়তপুরে যাবেন।
ঈদের কেনাকাটা কি শুরু হয়েছে? জানতে চাইলে তানজিন তিশা জানালেন, এখন আলাদা করে আর ঈদের কেনাকাটা করেন না। একে তো ব্যস্ত থাকেন। এদিকে ঈদে এত বেশি উপহার পান যে আলাদা করে কোনো কিছু কেনারও প্রয়োজন হয় না। বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়স্বজন ও ফ্যাশন হাউসগুলো ঈদের আগে অনেক উপহার পাঠায়।
ঈদের দিন একটু সাধারণভাবে থাকতেই ভালোবাসেন তিশা। সকাল আর দুপুরে একেবারেই সাজতে ভালোবাসেন না। সকাল আর দুপুরে পছন্দের তালিকায় থাকে সুতির পোশাক। সকালের দিকে একটু ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরতেই ভালোবাসেন। তিশা বলেন, ‘পোশাক নির্বাচনের সময় আরাম ও আবহাওয়ার বিষয়টিকে মাথায় রাখি। এ বছর ঈদের দিন সকালে কোন প্যাটার্নের পোশাক পরব, তা এখনো ভাবিনি।’ তবে ঈদের দিন যখনই যে কামিজ পরবেন, তার সঙ্গে শারারা বেছে নেবেন বলে জানালেন। বোঝা গেল, শারারার প্রতি তানজিন তিশার আছে বিশেষ ভালো লাগা। উপহার পাওয়া পোশাক থেকেই সুতির কোনো একটি বেছে নেবেন সকালে পরার জন্য। দুপুরের দিকে শাড়ি পরার ইচ্ছা আছে বলে জানালেন। মসলিন, নেট, শিফন—এসব শাড়ির প্রতি বিশেষ ভালো লাগা আছে তানজিন তিশার। সারা দিন তেমন না সাজলেও সন্ধ্যার পর হালকা সাজগোজ করবেন। কারণ, সাজপোশাকে উৎসবের আমেজ তো একটু আনতেই হবে। ‘ভক্তরাও অপেক্ষা করেন কী পোশাক পরলাম, কেমন সাজলাম, সেটা দেখার জন্য,’ বলছিলেন তানজিন তিশা। এই সময়ের সাজের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করবেন বলেও জানান। আর এই ছবি তোলার জন্যই প্রতিবার ঈদে সন্ধ্যার দিকে মূল পোশাকটি পরেন। অন্যান্যবার ঈদের সন্ধ্যায় একটু ভারী ধাঁচের গয়না পরেন। এবারও হয়তো সেভাবেই কিছু বেছে নেবেন। কানের দুলের প্রতি তানজিন তিশার আছে বিশেষ দুর্বলতা। আরও জানালেন, ‘আজকাল হোয়াইট গোল্ডের গয়না বেশ ভালো লাগছে।’
সাজগোজে তেমন বাহুল্য না থাকলেও চুলের সাজ নিয়ে বেশ সচেতন থাকেন তিশা। ঈদের দিন চুলে একটু ওয়েভ লুক আনেন। কখনো ছেড়ে রাখেন। আবার কখনো বান করে নেন। এটা আসলে পুরোটাই নির্ভর করে, কী পোশাক পরছেন তার ওপর।
শারারার মতোই পায়ে নাগরা পরতে ভালোবাসেন। তাই যেখানেই যান, সেখান থেকেই সংগ্রহ করেন এই নাগরা। ঈদে পোশাক, সাজগোজ আর ঘুরে বেড়ানোর আনন্দ তো আছেই, তবে যে আনন্দ সবচেয়ে বেশি তানজিন তিশাকে টানে, তা হলো ঈদের সালামি। বাড়ির ছোট মেয়ে হওয়ায় সালামির একটা বিরাট ভাগ পান তিনি। তবে এখন তো তিশাকে সালামি দিতেও হয়। তিশা বলেন, ‘এখন বাড়ির ছোটরা অপেক্ষা করে আমার কাছ থেকে সালামি নেওয়ার জন্য। ওদের সালামি পাওয়ার আনন্দ দেখে নিজের ছোটবেলার কথা মনে পড়ে। আর এটাই আমার ঈদের দিনটা বিশেষ করে তোলে।’