পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় কুররাম জেলার একটি স্কুলে হামলার ঘটনা ঘটেছে। স্কুলটির অন্তত সাতজন শিক্ষককে গুলি করে হত্যা করা হয় বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। নিহত সাত শিক্ষক পাকিস্তানের সংখ্যালঘু শিয়া সম্প্রদায়ের সদস্য ছিলেন। আগের দিন একটি পৃথক হামলায় রাস্তায় নিহত ওই একই স্কুলের আরেক শিক্ষক, যিনি একজন সুন্নি মুসলিম ছিলেন।
একাধিক বন্দুকধারী এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত বলে পুলিশ জানিয়েছে। পাখতুনখোয়া প্রদেশের কুররাম জেলার একটি সরকারি স্কুলে শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা দেওয়ার সময় সেখানে একদল বন্দুকধারী হামলা চালায়। এর আগের দিন গুলি করে শিক্ষক হত্যার ঘটনার সঙ্গে এই ঘটনার যোগসূত্র রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ওই শিক্ষককে কুররাম জেলায় গাড়িতে গুলি করে হত্যা করা হয় বলে কর্মকর্তারা জানায়। এসব ঘটনার সন্দেহভাজনরা পলাতক রয়েছে।
আফগানিস্তানের সীমান্তবর্তী গ্রামীণ এলাকা কুররাম জেলার স্কুলে ঠিক কী ঘটেছিল সে সম্পর্কে বিস্তারিত এখনো কিছু জানা যায়নি। পুলিশও রহস্য উদঘাটন করতে পারেনি। স্থানীয় পুলিশ কর্মকর্তা আব্বাস আলী বলেন, ‘আমরা সব দিক খতিয়ে দেখছি, এখনও পর্যন্ত আমরা জানি না কে শিক্ষকদের হত্যা করেছে।’ কর্মকর্তারা ধারণা করছে, কুররাম জেলায় যাকে গাড়িতে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে, তিনি একই বিদ্যালয়ের শিক্ষক। পুলিশের ওপরও হামলা হয়।
শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান সামিনা আলতাফ দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউনকে সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, স্কুলের ভেতরে থাকা শিক্ষার্থীরা নিরাপদে রয়েছে। স্থানীয় প্রতিবেদন অনুযায়ী, বন্দুকধারীরা যখন প্রবেশ করে এবং গুলি চালায় তখন স্কুলের শিক্ষকরা পরীক্ষার দায়িত্ব পালন করছিলেন।
প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি আসিফ আলি জারদারি টুইটারে টুইট করে এই ঘটনায় জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন এবং এই ঘটনাকে সন্ত্রাসবাদ বলে আখ্যা করেছেন। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফও শিক্ষকদের ওপর এমন হামলার নিন্দা জানিয়েছেন এবং হত্যাকাণ্ডের ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।