সাভারে বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাকের কর্মী রেজাউল করিম কিস্তির টাকা তুলতে গিয়ে খুন হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে সাভার মডেল থানায় এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ঢাকা জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুলাহিল কাফী।
পুলিশ জানায়, গত বুধবার বিকেল ৩টার দিকে তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়নের রাজফুলবাড়ীয়া এলাকার আসাদুজ্জামানের দোতলা বাড়ির নিচতলায় সিঁড়ির সামনে থেকে রেজাউলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তাকে হত্যার অভিযোগে ইতোমধ্যে শাহিন আলী (২২) নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। নিহত রেজাউল ব্র্যাকের মাঠকর্মী হিসেবে কাজ করতেন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, রেজাউল করিমের মরদেহ পড়ে থাকার খবর পেয়ে ট্যানারি ফাঁড়ির পরিদর্শক রাসেল মোল্লার নেতৃত্বে একটি টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে তা উদ্ধার করে। একইসঙ্গে তারা হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটনে তদন্ত শুরু করে। তদন্তকালে ওই বাড়ির ভাড়াটিয়া শাহিন আলীকে এলোমেলোভাবে ঘুরতে দেখে সন্দেহ হয় তদন্তকারী কর্মকর্তার। পরে শাহীনকে জিজ্ঞাসাবাদের সময় তার গলা ও পিঠে নখের আঁচড়ের দাগ দেখা যায়। এরপর পুলিশ তাকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে এক পর্যায়ে তিনি রেজাউলকে হত্যা করেছে বলে স্বীকার করেন। গত ১৩ জুন শাহিনের কাছে কিস্তির টাকা তুলতে যান রেজাউল। সেই সময় শাহীন টাকা নেই জানিয়ে রেজাউলকে পরে আসতে বলেন। পরদিন আবার কিস্তির টাকার জন্য শাহীনের বাসায় যান রেজাউল। তখন তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয় এবং এক পর্যায়ে রেজাউলের তলপেটে লাথি মারেন শাহীন। পরে রেজাউল শাহীনের গলা ও পিঠে নখ দিয়ে খামচি দেয় এবং তার চোখে ঘুষি মারেন। এরপর শাহীন আবারও রেজাউলের পেটে লাথি মারলে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন এবং সেখানেই মারা যান। ওইদিন দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত শাহীন মরদেহটি নিজের রুমেই লুকিয়ে রাখে। পরে সুযোগ বুঝে মরদেহটি সিঁড়ির নিচে নিয়ে রাখে। হত্যার পর রেজাউলের পকেটে থাকা নগদ ৫০ হাজার টাকা নিয়ে তা নিজ রুমের বাথরুমের চিলেকোঠায় লুকিয়ে রাখেন শাহীন। তার স্বীকারোক্তির পরে সেই টাকা উদ্ধারও করা হয়েছে।