নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকার অদূরে সাভারে সাবেক স্কুলশিক্ষক গোলাম কিবরিয়াকে হত্যায় জড়িত অভিযোগে তিন ব্যক্তিকে গ্রেপ্তারের কথা জানিয়েছে র্যাব। তাঁরা বলছেন, কিবরিয়ার বাসায় থাকা নগদ অর্থ লুট করতেই তাঁকে খুন করা হয়। হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে বিভ্রান্ত করতে লাশের পাশে চিরকুট ফেলে রাখা হয়।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান সংস্থাটির আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন ইমন খান (২৩), মো. সাগর (২২) ও ছাদেক গাজী (২২)। র্যাব বলছে, তিনজনই কিবরিয়ার পরিচিত। গতকাল সোমবার রাতে যশোর, ঝিনাইদহ ও রংপুর থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
২০ আগস্ট দুপুরে সাভার পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের ভাটপাড়ার বাসা থেকে কিবরিয়ার হাত-পা বাঁধা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। লাশের পাশে একটি চিরকুট পাওয়া গিয়েছিল। চিরকুটে কিবরিয়াকে নৈতিক স্খলনের কারণে হত্যা করা হয়েছে বলে উল্লেখ ছিল। চিরকুটে লেখা ছিল, ‘আমরা ইসলামের সৈনিক’। র্যাব বলছে, এই হত্যার পেছনে কোনো জঙ্গিগোষ্ঠীর হাত রয়েছে—এমন ধারণা দিতেই খুনিরা চিরকুটে এ কথা লিখেছিল।
গ্রেপ্তার তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে র্যাবের কর্মকর্তা খন্দকার আল মঈন বলেন, গ্রেপ্তার ইমন এ হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী। ছয় মাস আগে কিবরিয়ার সঙ্গে ইমনের পরিচয় করিয়ে দেন তাঁর (ইমন) বন্ধু সাগর। সাগরের অটোরিকশায় চড়ে কিবরিয়া বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করতেন। এই সূত্রে কিবরিয়ার বাসায় সাগরের যাতায়াত ছিল। পরিচয়ের পর ইমনও কিবরিয়ার বাসায় যেতেন। একপর্যায়ে ইমন ও সাগর জানতে পারেন, কিবরিয়ার বাসায় নগদ টাকা আছে। এই টাকা লুট করতেই কিবরিয়াকে খুনের পরিকল্পনা করেন ইমন।